Thursday, October 23, 2008

কুশিক্ষা যখন উচ্চশিক্ষার পথ রুদ্ধ করে


খুব পুরোনো একটা প্রবাদবাক্য নিয়ে আমার মতো সবাই বোধ করি স্কুল জীবনে ভাব-সম্প্রসারণ লিখতেন,‘দূর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য, সর্পের মস্তকে মণি থাকলেও সে কি ভয়ংকর নহে?’এরসাথে আরো একটি যোগ না করে পারছিনা ‘গুরুজনে করো নতি, সেবা করো কায়মনে।’এই লেখাটি শুরুর দিন (অক্টোবর ২২, ২০০৮) দৈনিক কাগজে আসা দুইটি খবর উপরোক্ত দুইটা প্রবাদ বাক্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিল। জাহাংগীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে তাঁরই বিভাগের ছাত্র/ছাত্রীরা নৈতিক স্খলনজনিত কারনে জুতা-পেটা করছেন, আরেকটি হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তাঁর বাসভবনে সর্বশেষ হামলাকারী তাঁরই প্রিয় (!) ছাত্রদের জরুরী আইনে দ্রুত গ্রেফতার করানোর জন্য পুলিশের আইজিপি থেকে শুরু করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পর্যন্ত হন্তদন্ত হয়ে তদবির করছেন।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গুরুজনদের উপর হামলা আমরা এর আগে অনেক দেখেছি।এমনকি আহত ছাত্রদের দেখতে এসেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিসিকে নিক্ষিপ্ত বালিশ, থুথু, অকথ্য গালিগালাজ ইত্যাদি মোকাবেলা করতে হয়েছে।নিঃসন্দেহে এসব খারাপ কাজ, এর কঠোর বিচার হওয়া উচিৎ। কিন্তু এর সাথে আরো একটা বিষয় এড়ানো উচিৎ হবেনা, তাহলো কিছু কিছু শিক্ষকদের প্রতি ছাত্রদের এত ঘৃণাই বা কেন?যে ছাত্ররা আজো কম শিক্ষিত প্রাইমারী স্কুলের কোনো শিক্ষককে দেখলে অতি আদবে চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারেনা, সেই একই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচচ ডিগ্রীধারী পন্ডিতদের দিকে কেন ধেয়ে আসে? এর জন্য শুধু কি ছাত্রদেরই দোষ দিব নাকি দূর্জন বিদ্বানদের ফ্যাসিস্ট কার্যকলাপও এসব চাপা ক্ষোভ বিস্ফোরণের একটি অন্যতম কারণ?

নীল, সাদা, হলুদ ইত্যাদি রঙে রঞ্জিত হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছদ্মাবরনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিজেরাই নিজেদেরকে বিভক্ত করে রেখেছেন যা দুনিয়ার অন্য কোন দেশের শিক্ষকেরা শুনলে শুধু অবাকই হন না, উলটো প্রশ্ন করে বসেন, ‘এও আবার কি করে সম্ভব?’ নিষিদ্ধ না থাকা যেকোন রাজনৈতিক দলের সদস্য যে কেউই হতে পারেন, প্রচারও করতে পারেন তার নিজস্ব মতাদর্শ-এটা তার নাগরিক অধিকার। এসব কোনটাই দোষের নয়, কিন্তু সমস্যা হল যখন কিনা কেউ নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে বসে তার বেড়ে উঠা অতীতের গন্ডি ও বিশ্বাসের বাইরে আসতে পারেন না।বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারকে যদি আমি আমার প্রিয় রাজনৈতিক দলের সদর দপ্তরটি বানিয়ে ফেলি তখনই সমস্যা দেখা দেয়।সেক্ষেত্রে আমি তো আমার পদের সম্মান রাখতে পারলাম না। তবে হ্যাঁ, মিডিয়া হাতে থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব! ঘোড়াকে যেমন আকাশে উড়ানো যায়, আবার ঈগলকেও পানিতে ডুবানো যায়।যাঁরা নিজেদেরকে বিশ্বজনীন মানবতাবাদী বলে সারাক্ষন মুখে ফেনা তোলেন, তাঁরা নিজেরা বোঝেনও না যে বিপরীতাদর্শের প্রতি তাঁদের একপেশে ফ্যাসিস্ট মনোভাবের কারনেই মানবতা সবচেয়ে বেশী ভুলন্ঠিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচচশিক্ষা নিতে সম্পূর্ন অযৌক্তিকভাবে মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গোটা ভর্তি পদ্ধতিই যেখানে নতুন করে সাজানোর কথা শিক্ষাবিদরা বলছেন, সেখানে কি করে ভর্তি পরীক্ষার কিছুদিন আগে উচচমাধ্যমিক স্তরে বাংলা ও ইংরেজী বিষয়ে ২০০ নাম্বার করে থাকতে হবে বলে কিছু বিভাগ যোগ্যতা নির্ধারণের একটি মাপকাঠি বানায়? ছাত্রদের বৃহৎ একটি অংশের উপর কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের যেসব বিভাগসমূহ এই অবিচার করছে বা করতে যাচ্ছে সেগুলোর নাম পত্রিকায় এসেছে বাংলা, ইংরেজী, লিংগুয়েস্টিক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, অর্থনীতি, লোক প্রশাসন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং উইমেন এ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ। পাঠকেরা নিশ্চয়ই জানেন, যারা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করে ‘ও’ বা ‘এ’ লেভেলে ডিগ্রী নেয় তারাও বাংলা বা ইংরেজী বিষয়ে ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা দেয় না।একই কায়দায় এসব ছাত্রদের উপর আপত্তিকর ওইসব শর্তসমূহ আরোপ না করায় ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের দায়ী ব্যক্তিদের কেউ যদি ‘দূর্জন বিদ্বান’ বলে গালমন্দ করে প্রতিরোধ করতে আসে তাদেরকে কে ঠেকাবে?

‘সব ছাত্রদের সমানভাবে দেখা উচিৎ’ এটা সম্মানিত শিক্ষক মহোদয়রা হরহামেশা বললেও অনেকের কার্যকলাপ ঠিক এর উল্টো। সর্বোচচ বিদ্যাপীঠে এমন শিক্ষকেরও প্রমাণ মিলে যাঁরা তাঁর একাংশ ছাত্রদের বিরুদ্ধে বখে যাওয়া আদু ভাই, ধাড়ি ছাত্রনেতাদের চেয়েও বেশী কথা বলেন।একটি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের মানুষ যখন অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন ঠিক সেই সময়ে নন-ইস্যুকে ইস্যু বানানোর মতলব, আর যাই হোক, নিশ্চয়ই ভাল বলা যাবেনা। তাছাড়া বাংলাদেশ সরকার অনূমোদিত যেকোন পদ্ধতিকে অস্বীকার করাতো আইন অমান্যেরই শামিল।ভর্তি পরীক্ষা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নির্ধারনের মাপকাঠি হয় তবে ঢাকা ভার্সিটির উচিৎ বুয়েটের অবিতর্কিত পদ্ধতি সম্মন্ধে জ্ঞানলাভ করা। বিআইটি বা বর্তমানে অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় সমূহও মোটামুটি একই নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।দেশের সব ছাত্রদেরকে সমানভাবে মূল্যায়ন করায় এনিয়ে আজো তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তাছাড়া কোন কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ব্যক্তিগত রুঢ আচরনের অভিযোগ থাকলেও বুয়েটের শিক্ষকেরা কোন সময়েই নিজেদেরকে লাল, সাদা, কালো, নীল, হলুদ ইত্যাদি আবরনে বৃত্তাবদ্ধ করে রাখেন নি।বলা বাহুল্য, এজন্যই বোধ হয় তাঁদেরকে কখনো নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য কোথাও দৌড়াতেও হয়নি।

কমিউনিজম ও একনায়কতান্ত্রিক দেশ ব্যতিরিকে যেকোন দেশেই শিক্ষাব্যবস্থার একাধিক মডেল বিদ্যমান। বহুমাত্রিক সংস্কৃতি ও বিশ্বাসকে দমন নয়, বরঞ্চ উৎসাহিত করাই হল গনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার স্বীকৃত একটি মৌলিক উপাদান। নিজস্ব কালচারকে টিকিয়ে রাখতে জাতিসংঘের মত প্রতিষ্ঠানও বিভিন্ন কমিউনিটিতে নিরন্তরভাবে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে । তাদের জনপ্রিয় একটি শ্লোগান হল, ‘Celebrate your own festival (নিজের উৎসব নিয়ে আনন্দ করো)’। আমেরিকা ও কানাডাতে ক্যাথলিক স্কুল, জুইশ স্কুল, ফ্রেঞ্চ স্কুল, ইসলামিক স্কুল এমনকি তামিল স্কুলও দেখেছি। সেসব স্কুল থেকে পাশ করা গ্রাজুয়েটদের শর্তের মারপ্যাঁচ দিয়ে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ই এমন কোন হিংসাত্মক সিদ্ধান্ত নেয়না। আমেরিকার যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি মাস্টার্স করেছি, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে শুরু করে এর উদ্ধেশ্য পর্যন্ত প্রসপেক্টাসে স্পষ্টভাবে বিধৃত করা হয়েছে খ্রীস্টান আদর্শ প্রচারের মহৎ ব্রতের কথা।এমনকি প্রতিটি ক্লাসে ক্রুশবিদ্ধ যীশুর প্রতিকৃতি শোভা পেলেও কর্তৃপক্ষ কিছু মুসলিম ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য সুন্দর একটি মসজিদের ব্যবস্থা করতে ভোলেননি।মাল্টি কালচারিজম উৎসাহিত করতে কানাডায় বছরে একটি দিনকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ভিলেজ ফেস্টিভ্যাল’ বলেও অভিহিত করা হয়।

বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল উদ্ধেশ্যের দিকে না তাকিয়ে আমরা উক্ত বিভাগসমূহের সম্মানিত শিক্ষকদের মোটিভের দিকে তাকাতে পারি।ধরে নিলাম, তাঁরা তাঁদের বিভাগসমূহকে আরো আধুনিকীকরন করতে চাচ্ছেন। তার মানেটা কি? সেটি তো হওয়া উচিৎ ছিল পদ্ধতি আরো সহজ করে বেশী ছাত্রদেরকে কাছে টেনে নিয়ে আসা।কথা ছিল, সনাতনী গৎবাঁধা শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে ব্যবহারিক উন্নত শিক্ষায় ছাত্রদেরকে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করা।পক্ষে কোন্‌‌ দেশের উদাহরন তাঁরা টানতে চাচ্ছেন?সেসব দেশের মধ্যে বর্তমানে একমাত্র চীন ছাড়া তো হারাধনের অবশিষ্ট আর কেউ নেই। সবাই আজ বাস্তবতা স্বীকার করে ভিন্ন পদ্ধতির সৌন্দর্য্য শিখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টারে রাতদিন খাটছেন।আর আমাদের দেশে চলছে এর উল্টোটা! কি বিচিত্র পৃথিবী!

এবার দেখি, বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন মানুষের এই মৌলিক অধিকারটি নিয়ে কি বলে। বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লেখ রয়েছেঃ
‘২৮(১) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না। (৩) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোন বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোনরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না। ২৯(১) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে। (২) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাঁহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না।’
আর জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ বা ‘দ্যা ইউনিভার্স্যাল ডিক্ল্যারেশন অব হিউম্যান রাইটস’-র ২৬ নং অনুচ্ছেদে ১ থেকে ৩ নং ধারায় এভাবে বলা হয়েছেঃ
Everyone has the right to education. Education shall be free, at least in the elementary and fundamental stages. Elementary education shall be compulsory. Technical and professional education shall be made generally available and higher education shall be equally accessible to all on the basis of merit. (অর্থাৎ, লেখাপড়া শেখা প্রত্যকেরই অধিকার।এটা হতে হবে বিনা পয়সায়, অন্ততপক্ষে প্রাইমারী শিক্ষাসমূহ। টেকনিক্যাল এবং পেশাগত শিক্ষা অবশ্যই সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত হতে হবে।আর উচচশিক্ষার দুয়ার সবার জন্য সমানভাবে মেধার ভিত্তিতেই নির্ণিত হবে।)
Education shall be directed to the full development of the human personality and to the strengthening of respect for human rights and fundamental freedoms. It shall promote understanding, tolerance and friendship among all nations, racial or religious groups, and shall further the activities of the United Nations for the maintenance of peace. (অর্থাৎ, শিক্ষা মানুষের ব্যক্তিত্ত্ব উন্নত করনের নির্দেশনা দিবে এবং সম্মানের ভিত্তিতে মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা মজবুত করবে।প্রত্যকে দেশ, জাতি বা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষা পারস্পরিক বোঝাপোড়া, সহমর্মিতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে উৎসাহ যোগাবে। জাতিসংঘের শান্তি বজায় রাখা কর্মসূচীতেও এটা উৎসাহ যোগাবে।)
Parents have a prior right to choose the kind of education that shall be given to their children. (অর্থাৎ, ছেলেমেয়েদের যেকোন ধরনের শিক্ষা প্রদানের অধিকার পিতা-মাতাদের রয়েছে।)

পরিশেষে বলব, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এমন মানুষ নিশ্চয়ই লুক্কায়িত আছে, যারা চায় না বাংলাদেশের মানুষ শিক্ষা-দীক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে যাক। সারা দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়সমূহ উস্কে দিয়ে হিংসা, হানাহানি ছড়িয়ে এরা হয়তো ছাত্রদেরকে সারাক্ষন ব্যস্ত রাখতে চায়। আর যেকোন অন্যায়, জুলুমের পরিনতি যে কখনো ভাল ফল বয়ে আনেনা পাকিস্তানের স্বৈরশাসক মোশাররফের সাম্প্রতিক মাদ্রাসাবিরোধী জংগীদমন অভিযান তার বড় প্রমান। একই প্রক্রিয়ায় লালন-ভাস্কর্য, মাদ্রাসা ছাত্ররোধ ভর্তি ইত্যাদি ইস্যু সুপরিকল্পিতভাবে তৈরী করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে গ্লোবাল ষড়যন্ত্রকারীরা আন্তর্জাতিক অংগনে বাংলাদেশকে তথাকথিত ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-র অংশীদার ও জংগী দেশ বানাতে মরিয়া হয়ে উঠছে। মাননীয় ভিসি ডঃ ফায়েজ যেমন তাঁর বাসা আক্রমনকারী দুস্কৃতকারীদেরকে আচ্ছামত শাস্তি দেওয়ানোর জন্য অস্থির হয়েছেন, ঠিক তেমনি তাঁর আরো দ্বিগুন-তিনগুন অস্থির হওয়া উচিৎ যেন একদল ছাত্র/ছাত্রীর মহামুল্যবান জীবন ও গোটা দেশ নিয়ে কেউ ছিনিমিনি না খেলে। ব্যক্তিগতভাবে আমার সারা গোষ্ঠীর কেউ-ই মাদ্রাসায় লেখাপড়া না করলেও এই অবিচারের বিরুদ্ধে যেমন কলম ধরে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হচ্ছি, আর যাঁরা এর ভুক্তভোগী তাদের মনোবেদনা আঁচ করতে সংশ্লিষ্টদের খুব বেশী কষ্ট হওয়ার কথা নয়। গায়ের জোরে এরকম উদ্ভট সিদ্ধান্ত জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে চালাকি করে প্রকারান্তরে নিজেদের বুদ্ধির দীনতা প্রকাশ করার মাঝে কোন কল্যান নেই।‘করো নতি’ যাঁদের প্রাপ্য ছিল,তার বদলে সেসব উচচশিক্ষিত পন্ডিত শিক্ষকদেরকে যেন ছাত্ররা ‘ভয়ংকর’ বা ‘দূর্জন বিদ্বান’ আখ্যায়িত করে এড়িয়ে না চলে (ঠিক যেমনটি আমরা ‘মণি’ থাকা সত্ত্বেও সর্পকে এড়িয়ে চলি) সেদিকে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ।

5 comments:

বিজয় said...

সুন্দর লিখেছেন।

ধন্যবাদ।

umm_abdullah said...

Nice article. Expected.

Wants to see in SWI.

যাযাবর said...

একদম ঠিক কথা লিখেছেন শাহীন ভাই। ... পড়তে দেরী হয়ে গেলো। আপনার পিচ্চির নতুন স্কুল জীবন কেমন যাচ্ছে?

Fazle Elahi said...

শাহীন ভাই, চমৎকার লেখা। কিন্তু কোথায় কোথায় ছাপা হয়েছে সেসব লিংকও যোগ করে দিন (যদি থাকে)।
-Fazle Elahi Mujahid

Shahin Siddiquee said...

আমি অত্যন্ত দুঃখিত। এতগুলো কমেন্ট জড়ো হয়ে গেছে টেরই পাইনি। অনেকদিন ঢু দেওয়া হয়না তো।
আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
উম্মু আব্দুল্লাহ, সা.ই অনেক সময়ই দিতে মন চায়না। ওত সময় লেগে থেকে ঝগড়া মোকাবেলা করতে ভাল্লাগে লাগেনা।
যাযাবর, পিচচি খুব এনজয় করছে। খুব ব্যস্ত! সকালে জেকে, বিকেলে ইসলামিক স্কুল; কঠিন অবস্থা!
মুজাহিদ ভাই, ছাপা মনে হয় এখনো হয়নি।
বিজয়ের ব্লগটা ঘুরলাম। বেশ ভাল লাগল!